সন্তানদের নিয়ে বাবা মায়েদের চিন্তার কোন শেষ নাই। আর তা যদি হয় টিনএজার তবে তো কোন কথায় নেই। সাধারণত বয়ঃসন্ধির এই সময়টাতে বড় ধরণের ভুলগুলো করে থাকে ছেলেমেয়েরা।কিছু ভুল করে অন্যকে দেখে কিছু ভুল করে নিজে থেকে আর কিছু ভুল করে বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে। আর এই বন্ধুদের নিয়ে বাবা মার চিন্তার কোন কমতিও থাকে না। আপনি কীভাবে জানবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভাল না খারাপ?
আসুন জেনে নিই কীভাবে জানবেন আপনার সন্তানের বন্ধুটি ভাল না খারাপ।
১. একটি ভাল বন্ধু আপনার সন্তানের সেরা দিকটা খুঁজে বের করে
আপনার সন্তান কি ছোট ভাইবোনের সাথে খেলা করছে? তাদের সাথে শেয়ার করছে তার প্রিয় জিনিস? তবে হ্যাঁ আপনার সন্তান ভাল বন্ধুদের সংস্পশেই আছে। যারা আপনার সন্তানকে পরিবারের সাথে বিশেষত ছোট ভাইবোনদের সাথে সময় কাটানো শেখায়। ছোট ভাইবোনকে ভালবাসতে শেখায়।
২. একটি ভাল বন্ধু কখনই বন্ধুর পারিবারিক ঐত্যিহ নিয়ে কথা বলবে না
আপনার পরিবার এর সংস্কৃতি, বিধি, প্রত্যাশা, মান, ভ্যালু বা অন্য কিছু যা আপনার পরিবারের ঐতিহ্য বহন করে তা নিয়ে একজন ভাল বন্ধু কখনই কোন নেতিবাচক কথা বলবে না।একজন ভাল বন্ধু এমন কোন কাজ করবে না যা আপনার পরিবারের ঐতিহ্যকে কটাক্ষ করে। পরিবারের বিপদ আপদে যেকোন সম্যসায় বন্ধুটিকে যদি আপনার সন্তানের পাশে পান, তবে বুঝে নেবেন আপনার সন্তান একজন ভাল বন্ধুর সাথেই আছে।
৩. একটি ভাল বন্ধু কখনোই আপনার সন্তানের সাফল্যে হিংসা করবে না
হিংসার মধ্যে ভালবাসার চেয়ে স্ব প্রেম নিহিত বৌদ্ধ ধর্মের এই কথাটি একজন ভাল বন্ধুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভাল বন্ধু কখনই আপনার সন্তানের সাফল্যে হিংসা করবে না। বরং তার সাফল্যে সেও খুশি হবে আপনারই মতো।
৪. খুব বেশী মিথ্যা বলা
ছেলেমেয়েরা দিনের বেশীর ভাগ সময় স্কুলে কাটায় তার বন্ধুদের সাথে। বন্ধুটির ভাল খারাপ সবকিছু অনুসরণ করে থাকে।আর মিথ্যা বলার অভ্যাসটাও সে পেয়ে থাকে এই বন্ধুদের কাছ থেকেই। হঠাৎ করে যদি আপনার সন্তান খুব বেশী মিথ্যা বলা শুরু করে তবে বুঝতে হবে আপনার সন্তান এই অভ্যাসটি তার বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছে।
৫. প্রতিশোধ পরায়ণতা
আপনার সন্তান কি হঠাৎ করে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠেছে? তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ না করলে জেদ করছে? আপনি না বলার পরও একই কাজ বার বার করছে? তবে বুঝতে হবে সে এই কাজগুলো অন্য কারোর কাছ থেকে শুনে বা দেখে করছে।অন্য দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে আপনার সন্তান।
সন্তানদেরকে স্বাধীনতা দিন তার বন্ধু পছন্দ করার ক্ষেত্রে। কিন্তু সে বন্ধুটি যদি খারাপ হয় তবে তাকে তা বুঝিয়ে বলুন। কখনোই তাকে কোন কিছুতে বাধ্য করেবন না। এতে ভাল হওয়ার চেয়ে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী থাকে।